বিশ্বকাপ ফুটবলে প্রথম মুসলিম আয়োজক দেশ কোনটি জেনেনিন

প্রিয় পাঠক আপনাদের আপনারা যারা ফুটবল খেলা পছন্দ করেন ফুটবলের বিষয়ে অনেক কিছুই জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও সঠিক অনেক তথ্য পান না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল আজকের আমরা জানবো।বিশ্বকাপ ফুটবলে প্রথম মুসলিম আয়োজক দেশ কোনটি।

আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মন দিয়ে পড়বেন তাহলে ফুটবলের বিষয় অনেক অজানা কথা জানতে পারবেন বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা কে।

পৃথিবীতে জনপ্রিয় খেলার মধ্যে অন্যতম খেলা হলো ফুটবল ফুটবল খেলা পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর ফুটবল খেলা পৃথিবীর একটি অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ফুটবল খেলা আমরা অধিকাংশ মানুষই পছন্দ করি যারা খেলাকে ভালোবাসে তাদের সবার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ফুটবল আজকের আমরা এই আর্টিকেলে ফুটবল সম্পর্কে।

অনেক অজানা কথা জানবো যে কথাগুলো আপনি হয়তো বা আগে কখনো জানেননি তাই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন ফুটবল সম্পর্কে আমরা আজকে জানবো ও আলোচনা তাই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন ফুটবল সম্পর্কে আজকে আমরা জানব। ফুটবল খেলার জন্ম কোন দেশে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা শুরু হয় কত সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের।

প্রথম মুসলিম আয়োজক দেশ কোনটি প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল কোথায় অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা কে আজকের আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই আর্টিকেল এর কোন অংশ মিস করবেননা।

ফুটবল খেলা এমন একটি খেলা আমরা যারা খেলা প্রেমী আছি যারা খেলা কে পছন্দ করি তাদের মধ্যে এমন কোন মানুষ নেই যাহারা ফুটবল খেলা পছন্দ করে না কিন্তু আমরা ফুটবল খেলার অনেক ইতিহাসে জানিনা পৃথিবীতে ফুটবলের রাজত্ব করে গেছে পশ্চিমাদেশ গুলো কিন্তু বর্তমান সময়ে পশ্চিমাদের সাথে সাথে মুসলমান দেশগুলো ফুটবলে।

ভালো করে যাচ্ছে ফুটবলে অনেক অবদান রাখতেছে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে মুসলিম আয়োজক দেশ কোনটি সেটি হল কাতার। কাতার ২০২২ সালে প্রথম মুসলিম আয়োজক দেশ হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করেন। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র কাতারি প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ এর

আয়োজন করে এছাড়া অন্য কোন মুসলিম দেশ এখন পর্যন্ত ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করতে পারেনি।

বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা কে জেনে নিন

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের নিয়ে এখানে কাউন্ট করেছি বিশ্বকাপ ফুটবলে যারা সর্বনিম্ন 10 গোল দিয়েছে তাদেরকে আমরা এই লিস্টের মধ্যে রেখেছি তাহলে দেখে নিন ফুটবল বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকা

তালিকার 13 নাম্বারে রয়েছেন জেগোজ লাতো, মোট ম্যাচ খেলেছেন 20টি টুর্নামেন্ট ১৯৭৪, ১৯৭৮, ১৯৮২, গোল সংখ্যা ১০ টি। এই তারিখে ১২ নম্বর এ রয়েছেন জার্মানির থমাস মুলার তিনি মোট ম্যাচ খেলেছেন ১৬ টি টুর্নামেন্ট ২০১০ ২০১৪, ২০১৮ গোল সংখ্যা ১০ টি। তালিকা ১১ নাম্বারে রয়েছে পেরুর তেওফিলো কুবিলাস মোট ম্যাচ তের টি

টুর্নামেন্ট ১৯৭০, ১৯৭৮, ১৯৮২, এর ও গোল সংখ্যা ১০ টি। তালিকায় ১০ নম্বর অবস্থানে রয়েছেন আর্জেন্টিনর গ্যাভি এল বাতিস্ততা মোট ম্যাচ ১২ টি টুর্নামেন্ট ১৯৯৪ ১৯৯৮ ২০০২ এর গোল সংখ্যা ১০ টি। তালিকার 9 নাম্বারে রয়েছে ইংল্যান্ডের গ্যরই লিনেকার মোট ম্যাচ খেলেছেন ১২টি টুর্নামেন্ট ১৯৮৬ ১৯৯০ এর গোল সংখ্যা ১০ টি। এই তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছে

পশ্চিম জার্মানির হেলমুট রান টুর্নামেন্ট ১৯৫৪ ১৯৫৮, এরকম সংখ্যা মোট দশটি। টুর্নামেন্টের ৭ নম্বর রয়েছে পশ্চিম জার্মানির জারগেন কিলিসম্যান মোট ম্যাচ খেলেছেন ১৭ টুর্নামেন্ট ১৯৯০ ১৯৯৪ ১৯৯৮, গোল করেছেন 11 টি। টুর্নামেন্টে ছয় নাম্বারে রয়েছে হাঙ্গেরি স্যান্ডর কক্সিস মোট ম্যাচ খেলেছেন পাঁচটি টুর্নামেন্ট ১৯৫৪ গোল সংখ্যা 11 টি। তালিকায় ৫ নম্বর

রয়েছেন ব্রাজিলের প্লে টুর্নামেন্ট টাইম ১৯৫৮, ১৯৬২ ১৯৬৬ ১৯৭০ এর গোল সংখ্যা বারোটি। টুর্নামেন্টের চার নম্বরে রয়েছেন ফ্রান্সের জাস্ট ফ্রন্টেইন মোট ম্যাচ খেলেছেন ছয়টি টুর্নামেন্ট ১৯৫৮ গোল সংখ্যা ১৩ টি। তালিকায় তিন নম্বর রয়েছেন গেট মুলার পশ্চিম জার্মানির টুর্নামেন্ট টাইম ১৯৭০ ১৯৭৪ এর গোল সংখ্যা ১৪ টি। সর্বোচ্চ গোলদাতার

তালিকায় দুই নাম্বারে রয়েছেন ব্রাজিলের রোনালদো মোট ম্যাচ খেলেছেন ১৯ টি টুর্নামেন্ট ১৯৯৪ ১৯৯৮ ২০০২ ২০০৬ এর গোল সংখ্যা ১৫ টি। তালিকায় ফুটবল বিশ্বকাপের এ পর্যন্ত সবচেয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় রয়েছেন জার্মানির মিরোস্লাব ক্লোস মোট ম্যাচ খেলেছেন চব্বিশটি টুর্নামেন্ট ২০০২ ২০০৬ ২০১০ ২০১৪ গোল সংখ্যা 16 টি।

হাজার বছর পূর্বে অভিজাত ব্যক্তিরা বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করতেন তখনকার সময়ে সাধারণ মানুষও কৃষক ঘোড়ায় চড়ে ওইসব খেলায় অংশগ্রহণ করার সামর্থ্য ছিল না তাই কৃষকেরা গোলাকার বল তৈরি করে পা দিয়ে লাথি দিয়ে খেলা শুরু করল কৃষকদের সেই খেলায় আজকের জনপ্রিয় সেই ফুটবল খেলা হিসাবে পরিচিত। যে ফুটবল খেলা আমরা এত

ভালবাসি সেই ফুটবল খেলা কোথা থেকে তৈরি হয়েছে সেটা কি আমরা ভেবে দেখেছি কখনো অনেকের কাছে এ বিষয়টা অজানা যদি আমরা এর উৎপত্তি স্থান খুঁজতে যাই তাহলে লক্ষ্য করি যে ফুটবল খেলার উৎপত্তি নিয়ে অনেকের মধ্যেই মতভেদ রয়েছে অনুমান করা হয় ৩৫০ অন্ধের দিকে ফুটবল খেলা শুরু করেছিল গিরিক ও রোমানরা তারা

চামড়ার থলের মধ্যে বাতাস দিয়ে বল তৈরি করত। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা এই বল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতো এর মধ্যে কিছু খেলায় তারা পা ব্যবহার করে থাকতো তাদের এই খেলার নাম ছিল এপিস কায়রোজ এই এপিস কায়রোজ খেলাকে ফিফা ফুটবল খেলার আদিরূপ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে গিরিক ও রোমানদের মত চিনেও ফুটবল খেলার প্রচলন

ছিল। চীনারা ফুটবল খেলার নাম দিয়েছিল সুজু চীনেরা চামড়া দিয়ে বল তৈরি করে লাথি দিয়ে খেলা করত। প্রতিযোগিতামূলক এই সুজু খেলাকে ফিফা প্রথম ফুটবল খেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। প্রাচীনকাল থেকে যেসব দেশে ফুটবল খেলা হত কিন্তু বর্তমান ফুটবল খেলা হিসেবে সেই সকল কোন দেশেই নাম

ফটাতে পারেনি তাহলে প্রশ্ন হল আধুনিক ফুটবল খেলা কোন দেশ থেকে সর্বপ্রথম চালু হয়। আধুনিক ফুটবল খেলার প্রথম উৎপত্তি হয়েছে ইংল্যান্ড থেকে।

দর্শক সংখ্যার দিক দিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ পৃথিবীর সবথেকে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান বিশ্বব্যাপী ফুটবল এতই জনপ্রিয় যে বিশ্ব ফুটবল ফেডারেশন ফিফা জাতিসংঘের চেয়েও বেশি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে জাতিসংঘের সদস্য দেশ ১৯৩ টি আর ফিফার সদস্য দেশ 211 টি কিন্তু প্রথম থেকে ফুটবল এত জনপ্রিয় ছিল না। এমনকি ফুটবলকে পেশাদারী

মর্যাদাও দিতে চাইনি কেউ। এমন অবস্থা থেকে কিভাবে ফুটবল বিশ্বকাপ কিভাবে শুরু হয়েছিল আজকের আর্টিকেলে জানব। বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা হয়েছিল ১৮৭২ সালে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যে এরপর ১৮৮৪ সালে ব্রিটিশ হোম চ্যাম্পিয়নশিপ নামে ফুটবলের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। ১৮ শতকের শেষের

দিকে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এর ফলে 1900, ১৯০৪, ১৯০৬, প্রদর্শনী খেলা হিসেবে ফুটবলকে রাখা হয় অলিম্পিকে ফুটবলের জন্য কোন পুরস্কার ছিল না। ১৯০৪ সালে ফিফা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর 1906 সালে সুইজারল্যান্ডে একটি আন্তর্জাতিক অলিম্পিকের আদল থেকে ভিন্ন একটি ফুটবল খেলার আয়োজন করে ফিফা এরপর

১৯০৮ সালের অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো ফুটবল আনুষ্ঠানিক খেলার মর্যাদা পায়। অলিম্পিকে অপেশাদার দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলার পাশাপাশি স্যার থমাস লিফটন ১৯০৯ সালে ইটালির তুরিনে স্যর থমাস লিপটন ট্রফি নামে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এটি ছিল বিভিন্ন দেশের ফুটবল ক্লাবের মধ্যে একটি চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা এ প্রতিযোগিতার

প্রত্যেকটি দল আলাদা আলাদা দেশের প্রতিনিধিত্ব করা অনেকেই একে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ বলে থাকে। ১৯২৪ সাল থেকে ফিফা পেশাদার যুগ শুরু করে। ১৯২৮ সালে অলিম্পিকের বাইরে আলাদাভাবে ফিফা নিজস্বভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। ফিফা প্রেসিডেন্ট জুলারিমে ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে তে প্রথম বিশ্বকাপ

প্রতিযোগিতা হয় মোট তেরোটি দেশ এতে অংশ নেয় ফাইনালে ৯৩০০০ দর্শকের সামনে আর্জেন্টিনাকে ৪,২ ব্যবধানে হারিয়ে উরুগুয়ে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে এ থেকেই ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হয়।

ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ শুরু হয় ১৯৩০ সালে যদিও আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচের পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল বলা বাহুল্য ১৯০৪ সাল থেকে। সেই বছরে ২১ শে মে বেলজিয়াম স্কটল্যান্ড স্পেন ডেনমার্ক সুইডেন ও ফ্রান্স মোট সাতটি দেশ দ্যা ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল বা ফিফা। প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্যোগ নে য় জুলু রিমে অনেক

টানা পনের পরে ১৯৩০ সালে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম দিনটি নিশ্চয়ই একটি স্মরণীয় দিন ছিল ১৯২৮ সালে আমছা ড্যাম এ অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে উপস্থিত ফিফার কর্মকর্তারা ঠিক করেন কবে কোথায় ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে কয়টি দেশ অংশগ্রহণ করবে। বিশ্বকাপের নিয়ে প্রথম এগিয়ে আসেন দক্ষিণ

আমেরিকার উরুগুয়ে এবং কর্মকর্তারা সম্মতি দেন এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর উরুগুয়েতে বিশ্বকাপ নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে যায় তৈরি হয় নতুন সেন্টারিয়াম স্টেডিয়াম বলা বাহুল্য সেই বছর ছিল উরুগুয়ের স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তি তাই বিশ্বকাপের আয়োজনের উন্মাদনা ছিল অনেক বেশি শেষ পর্যন্ত ১৩ টি দেশ অংশগ্রহণ করে যে ১৩ টি

দেশ খেলে তাদের মধ্য থেকে ফাইনালে উঠে ছিল আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে 4 2 গোলে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা অর্জন করে উরুগুয়ে।

লেখক এর মন্তব্য ঃ প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা ফুটবলের বিষয়ে অনেক জানা-অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন তাই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু আত্মীয়তার সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।